অলস সময় পার করছেন মিরপুরে বেনারসি পল্লীর বিক্রেতারা। দু-একটি দোকানে ক্রেতা থাকলেও সেখানে আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। অন্যান্য দোকানে ক্রেতার সমাগম না থাকায় দোকানিরা দোকান খুলে বিক্রির অপেক্ষায় সময় পার করছেন। রোববার মিরপুরের বেনারসি পল্লীর শাড়ির বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কথা হয় বেনারসি পল্লীর রূপম শাড়িজের বিক্রেতা কামাল হোসেন সঙ্গে। তিনি জানালেন, ঈদের এক মাস আগেই নতুন নতুন ডিজাইনের ঈদ কালেকশন থাকলেও ক্রেতার সমাগম নেই। ফলে বিক্রিও আশানুরূপ হচ্ছে না।
কামাল হোসেন বলেন, ‘এবার ঈদ গরমে হওয়ায় পাতলা কাপড়ের কদর বেশি। আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে ঈদে নতুন কাতান, এস কে কাতান, জরিয়ানা কাতান, কাঞ্জুবরণ, পঞ্চমপল্লী, মোনালিসা কাতান, পার্টি শাড়িসহ পাতলা কটনের শাড়ি রয়েছে তাদের কালেকশনে। ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব শাড়ি। লেহেঙ্গা ৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে থেকে ঈদের কেনাকাটা শুরু হলেও বেনারসি পল্লীতে এখনো কেতার সমাগম হচ্ছে না। সকাল ৯টায় দোকান খুলেছেন তিনি। দুপুর ১২টা বাজতে চলেছে, কিন্তু একজন ক্রেতাও আসেনি।’
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ও রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কিছু ক্রেতা আসছেন। তবে প্রত্যশা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত প্রয়োজনের চাইতে দোকান বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ দোকানে বিক্রি কমে গেছে। অনেকে আছেন কেনাকাটার জন্য ভারতে যান। এসব কারণে বেনারসি পল্লীতে ক্রেতার আনাগোনা কমে গেছে।